তাড়াশে লোকালয়ে ঘুরছে দলছুট মুখপোড়া হনুমান

মনিরুল ইসলাম তাড়াশঃ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি দলছুট মুখপোড়া হনুমান লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আজ রবিবার(৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল আটটার দিকে তাড়াশ রাধা গোবিন্দ মন্দির এলাকার পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে হনুমানটিকে দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। এ হনুমানটি গতক শনিবার দিন ছিল তাড়াশ পৌর এলাকার কহিত গ্রামে। শুক্রবার ছিল বাঁশবাড়িয়া গ্রামে।
এদিকে হনুমানটিকে একনজর কাছ থেকে দেখতে সকালেই উৎসুক মানুষের ভিড় পড়ে যায় রাধা গোবিন্দ মন্দির এলাকায়। বিশেষ করে, কিছু সময়ের পরে হনুমানটি লোকজনের খুব কাছে চলে আসে। তখন অনেকে কলা, বিস্কুট ও বাদাম খেতে দেয় হনুমানটিকে। কিন্তু কিছুই খায়নি। কাছ থেকে দেখে মনে হয়েছে হনুমানটি খুব ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত। কিন্তু মানুষের আতঙ্কে খেতে পারছেনা ও ঘুমাতে পারছেনা।
দেখা গেছে, হনুমানটি কখনো কখনো ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু লোকজনের ডাকাডাকিতে আবার জেগে ওঠে। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে হনুমানটিকে নেড়ে চেড়ে আদর করে দেন।
রাধা গোবিন্দ মন্দিরের পাশের বাসিন্দা শ্রী পনো কুমার বলেন, হনুমানটি ভোর বেলায় কহিত গ্রাম থেকে তাড়াশ সদর গ্রামের রাধা গোবিন্দ মন্দির এলাকাতে এসেছে।
প্রতিবেদক গোলাম মোস্তফার বক্তব্য, হনুমানটি নির্মাণাধীন ভবনের উপর বসে থাকার সময় ছবি ওঠানোর জন্য আমি ছাদে উঠে পড়ি। এরপর কাছ থেকে খিছু ছবি তুলি মুখপোড়া হনুমানের। আমি হনুমানটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করি ও যেতে সক্ষম হই। হনুমানটি আমার মাথায় পড়ে থাকা ক্যাপ খুলে ফেলে দেয় ও চুলের মধ্যে উকুন খুঁজতে থাকে। কিছু সময় আমার কাঁধে হাত রেখে বসে থাকে। কিন্তু হনুমানটিকে আদর করে ধরে আনতে চাইলে পা দিয়ে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয় আমাকে। এক পর্যায়ে হনুমানটি গাছের ডালের উঁচুতে উঠে পড়ে। আমিও গাছে উঠি। তখনও হনুমানটিকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করি। কিন্তু আবারও হনুমানটি বেশ কিছু সময় আমার মাথার উকুন খুঁজে বেড় করার চেষ্টা করে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামন বলেন, মুখপোড়া হনুমানটিকে ধরার চেষ্টা চলছে।

 

Check Also

বারুহাস উচ্চ বিদ্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নাবী পালিত

মোঃ মনিরুল ইসলাম তাড়াশ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ বারুহাস উচ্চ বিদ্যালয় এর আয়োজনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *