মোঃ মনিরুল ইসলাম: প্রতি বছরের ন্যায় এবারো সিরাজগঞ্জের তড়াশে শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে বসেছে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গামেলা। আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) তার শেষ দিন। মেলায় নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী, শিশুসহ সব বয়সের মানুষ কেনাকাটা করে থাকেন। তবে এ মেলায় সাধারণত এলাকার পুরুষদের তুলনায় গৃহবধূদের কেনাকাটা করতে বেশি দেখা যায়।
তাড়াশ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে দুর্গামেলা ষষ্ঠীপূজার দিন থেকে শুরু করে চলে বিজয়া দশমী অর্থাৎ বিসর্জনের দিন পর্যন্ত। তবে দশমীর দিন মেলায় অন্যান্য দিনের চেয়ে লোকসমাগম বেশি হয়ে থাকে। মেলার প্রধান আকর্ষণ মাটির তৈরি তৈজসপত্র, খেলনা, চুরি-মালা, নাগরদোলা, জাম্পিং, ড্রাগন খেলাসহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন।
এ মেলায় আশপাশের পাবনা জেলার চাটমোহর, ভাংগুড়া, নাটোরের সিংড়া, বগুড়ার নন্দিগ্রাম, শেরপুর উপজেলা ও স্থানীয় পালেরা তাদের তৈরি গৃহস্থালি তৈজসপত্র বিকিকিনি করতে আসেন। মূলত মৃৎশিল্পের মেলা বসলেও মৃৎশিল্পের তৈজসপত্র হাঁড়ি-পাতিল, কাঁসা, ঝাঁজর, সরা, মাটির তৈরি ব্যাংক ও মাটির তৈরি খেলনার পাশাপাশি কসমেটিকস, চুড়ি-মালা, দই-মিষ্টিসহ হরেক রকম দ্রব্য বিকিকিনি হয়ে থাকে এ মেলায়। আর এ মেলায় সকল ধর্মের স্থানীয় গৃহবধূরা গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় মৃৎশিল্পের তৈরি তৈজসপত্র কেনাকাটা করে থাকেন।
তাড়াশ পৌর সদরের বাসিন্দা চন্দ্রবালা বলেন, দুর্গাপুজা উপলক্ষে প্রতি বছর এ মেলায় মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল ও খেলনা, চুড়ি-মালা বেচাকেনা হয়ে থাকে। এছাড়াও মেলায় বিভিন্ন মিষ্টান্নও কেনাবেচা হয়ে থাকে। তবে এ বছর জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি বলে তিনি জানান।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার পালপাড়া থেকে আসা মৃৎশিল্পের দোকানদার হরেন্দ্র নাথ বলেন, প্রতি বছরই দুর্গাপুজা উপলক্ষে এ মেলায় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে আসি। এবারো এসেছি। বেচাকেনা বেশ ভালোই হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা সনাতন সংস্থার সভাপতি তপন গোস্বামী শারদীয় দুর্গামেলা প্রসঙ্গে বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা। আর এ পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর মেলা বসে। প্রায় দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মেলায় হরেকরকম জিনিসপত্র, গৃহস্থালি সরঞ্জাম, ও মিষ্টান্ন বিকিকিনি হয়।
Check Also
তাড়াশে মহিষলুটি মৎস্য আড়ৎ উন্নয়নে আলোচনা সভা
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মহিষলুটি আড়ৎ অফিসে আড়তের সেড নির্মান কাজ সম্পন্ন ও আড়তের …